১৯৯৫ সাল। পাবনার কৃতি সন্তান আলেমে দীন মাওলানা আব্দুস সুবহান সাহেব এলাকার জনমানুষের দাবীর মুখে নারী শিক্ষার প্রসারকল্পে ইমাম গাযযালী ট্রাষ্ট গঠন পূর্বক এ প্রতিষ্ঠানটি পূর্বের কিন্ডার গার্টেনের নাম অনুসারে মুসলিম দার্শনিক ইমাম গাযযালী (রঃ) এর নাম অনুসারে এ প্রতিষ্ঠানের নাম করণ করে গোপালপুর পুরাতন টেকনিক্যালের সামনে লীজের জায়গায় ছোট একটি বাড়ীতে নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় চালু করেন। শুরু থেকে যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম জনাব আলহাজ্ব আবুল কাশেম, আলহাজ্ব আবিদ হাসান, আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম, আলহাজ্ব খলিল আহমেদ, আলহাজ্ব নুরউদ্দীন আহমেদ, মোঃ আবুল হোসেন, মোঃ আব্দুর রহীম, মোঃ আব্দুর রউফ, ইউসুফ আলী মৃধা, আলহাজ্ব মোশাররফ হোসেন, মোঃ ফিরোজ হোসেন, মওলানা ওমর আলী, মোঃ আব্দুল মতিন, মোঃ আব্দুল গনি, ডাঃ আবুল কালাম আজাদ, আলহাজ্ব আমির হোসেন চুন্নুহাজী, মোঃ আব্দুল মান্নান , মোঃ শাহ নিজাম, মোঃ শাহজাহান আলী , মওলানা ক্ষাকের, আব্দুল মজিদ, এ্যাডঃ হামিদুর রহমান, এ্যাড আয়ুব খান, মোঃ এনামুল হক শামীম, মোঃ আক্কাস আলী, ইঞ্জিনিয়ার আনোয়ার হোসেন, আব্দুল মজিদ দুদু, অধ্যক্ষ আব্দুল করীম , উম্মে খায়ের ফাতেমা খানম, সহ আরো অনেক গুনিজন। লীজের জায়গার ব্যাপারে যিনি সহযোগিতা করেছিলেন তিনি পাবনার স্বনামধন্য প্রাক্তন জেলা প্রশাসক জনাব মোঃ সাইদুর রহমান স্যার। ১৯৯৬ সালে ৬ষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত মাত্র ১৭ জন শিক্ষাবঞ্চিত দরিদ্র ছাত্রীদেরকে নিয়ে ১টি শ্রেণী কক্ষে ৩টি ক্লাসের যাত্রা শুরু করা হয়। শুরু থেকেই প্রতিষ্ঠান প্রধান হিসেবে সুরাইয়া সুলতানা আপাকে (যিনি বর্তমানে অধ্যক্ষ ) দায়িত্ব প্রদান করা হয়। ম্যাডাম এবং আমি আইয়ুর হোসেন (সহকারী প্রধান শিক্ষক) আরো কিছু নিবেদিত শিক্ষকবৃন্দ কে সাথে নিয়ে হাঁটি হাঁটি পা পা করে অনেক প্রতিবন্ধকতা এড়িয়ে সামনের দিকে এগিয়ে চলার চেষ্টা করায় আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সফলতা দান করেন। নতুন প্রতিষ্ঠান, বোর্ডের স্বীকৃতি না থাকায় প্রতিষ্ঠানের নামে পরীক্ষা দেয়ার অনুমতি ছিল না তাই ২০০০ সালে অন্য এক স্কুল থেকে ৬ জন ছাত্রীকে এস এস সি পরীক্ষা দেয়ানোর ব্যবস্থা করা হয় এবং তাদের মধ্যে ৪ জন পাশ করে। পরের বছর অর্থাৎ ২০০১ সালে রাজশাহী বোর্ড থেকে প্রতিষ্ঠানের নামেই পরীক্ষা দেয়ার অনুমতি দেয়ায় মোট ১১ জন ছাত্রী পরীক্ষা দিয়ে ৮ জন ১ম ও ২য় বিভাগে পাশ করে । এর পর থেকে আস্তে আস্তে এলাকার বিদ্যুৎসাহী ব্যক্তিবর্গ ও কমিটির সহযোহিতায় প্রতিবছর শিক্ষার্থী সংখ্যা ও রেজাল্টের অবস্থার উন্নতি হতে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় এ বছর ১৫০ জন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা দিয়ে ১০০% পাশ করে এবং ৭৫ জন অ+ বাকীরা অ এবং অ- পেয়ে উক্তির্ণ হয়েছে। ২০০২ সালে অভিভাবকদের অনুরোধে ও নারী শিক্ষার প্রসার কল্পে উচ্চমাধ্যমিক শাখা খোলা হয়। এর পর ছাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধি হওয়ায় লন্ডন প্রবাসী জনাব আরেফ জে জাবদানী এবং রাশেদুজ্জামান সাহেবের সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠানটি ২০০৬ সালে অনন্ত ক্যাম্পাসে প্রায় ৪ বিঘা জমির উপর ২টি ৪তলা ভবনে স্থানান্তর করা হয়। আল্লাহপাকের অশেষ কৃপায় এবং এলাকার গন্য মান্য ব্যক্তিবর্গ ও শুভাকাংখীদের সহযোগিতায় আজ প্রতিষ্ঠানের এ অবস্থানে আসা। সে সময় স্থানীয় বিভিন্ন শুভাকাংখীবৃন্দ যেমন মোঃ আব্দুল করীম, মোঃ আব্দুর রশিদ রাশু, ইঞ্জিনিয়ার রবিউল ইসলাম, মোঃ সাইফুল ইসলাম লিটন মোঃ কামাল হোসেন সহ এলাকার আরো অনেক গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ নিবেদিত ভাবে সহযোগিতার হাত বাড়ান। আজ প্রতিষ্ঠানে ৩টি ৪তলা বিল্ডিং রয়েছে। এর মধ্যে ৩টি অফিস রুম, ৪টি শিক্ষক রুম, ১টি নামাজের রুম/ হলরুম, ১টি সাইন্স ল্যাব, ১টি লাইব্রেরী, ১টি কমনরুম, ১টি খেলার রুম, ১টি ডিজিটাল রুম, ১টি কনফারেন্স রুম এবং ৩৪টি ক্লাস রুম রযেছে এছাড়াও ২৬টি বাথরুম রয়েছে এবং ওজুর সুব্যবস্থা ও সার্বক্ষনিক নিরাপদ পানির ব্যবস্থা রয়েছে। তাছাড়া বাচ্চাদের খেলার ৯টি দোলনা, ২টি সিলিপার ও ৩টি ঢেঁকি রয়েছে। বিশাল মাঠে ও মনোরম পরিবেশে শিক্ষার্থীবৃন্দের আনন্দের সাথে ক্লাস করে খেলাধূলা করার সুন্দর সুযোগ রয়েছে। দক্ষ কমিটি ও স্থানীয় সকলের সহযোগিতায় প্রায় ২০০০ হাজার শিক্ষার্থী নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি সুশৃংখল ভাবে পরিচালিত হচ্ছে। এজন্য সকলের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। তবে মেধাবী ছাত্রী ভর্তি করে আরো ভাল ফলাফল ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কাজে সহয়োগিতা করার জন্য সকলের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করছি।